Sustain Humanity


Tuesday, June 2, 2015

তসলিমাকে নিরাপত্তা দেবে মার্কিন সংগঠন Taslima Located in America!

Controversial Bangladeshi writer Taslima Nasreen has been relocated to the US from India after death threats by Islamists radicals from her country where three secular bloggers were hacked to death since February. The 52-year-old controversial writer from Bangladesh has been living in exile since 1994 in the wake of death threats by Muslim fundamentalist outfits. Taslima is now a citizen of Sweden. She has been continuously getting Indian visa since 2004. 
তসলিমাকে নিরাপত্তা দেবে মার্কিন সংগঠন
www.prothom-alo.com/bangladesh/article/544084
বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে নিরাপত্তাসহ সব ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংগঠন দা সেন্টার ফর ইনকোয়ারি (সিআইএফ)। বাংলাদেশে ব্লগার অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান ও অনন্ত বিজয়কে হত্যার ঘটনায় সংস্থাটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান...

Taslima Nasreen Relocated To US Amid Death Threats From Islamic Extremists

HuffPost India  |  By
Bangladeshi writer Taslima Nasreen has been moved to the United States by the Center for Inquiry, a New York-based advocacy group, which said that she had received death threats.
Nasreen's relocation comes after the murder of three secular bloggers by Islamic extremists in Bangladesh, this year.
CFI, which appealed for funds to support Nasreen's stay in the U.S., said on itswebsite that she had been "named as an imminent target by the same extremists responsible for the murders of Avijit Roy, Washiqur Rahman, and Ananta Bijoy Das."
Al Qaeda claimed responsibility for Roy's murder.
CFI said that Nasreen arrived in the United States, last week.
"Nasrin was recently named as one of the next targets for murder by Al Qaeda-linked extremists, prompting CFI to assist in transporting her safely to the U.S., alleviating the immediate threat to her life," the group said. "Her safety is only temporary if she cannot remain in the U.S., however, which is why CFI has established an emergency fund to help with food, housing, and the means for her to be safely settled."
The author of 'Lajja' has been tweeting from the United States.
CFI said that any money raised in excess of what is necessary for Nasreen's cause will be used to rescue other "atheist, humanist, and secular activists under threat."
“Taslima is a truly international role model, as her work and her courage inspire people of all ages to question tradition, challenge dogma, and fight for human rights,” said Ronald A. Lindsay, president and CEO of the Center for Inquiry.
“We could not stand by while her life was in danger, nor will we turn our backs on the other brave freethinkers in fear for their lives. I know our community will make a strong show of solidarity and give generously to this emergency fund," he said.

তসলিমাকে নিরাপত্তা দেবে মার্কিন সংগঠন
www.prothom-alo.com/bangladesh/article/544084



Taslima
ভারতে নিজেকে আর নিরাপদ ভাবতে না পেরে আমেরিকায় চলে গেলেন তসলিমা নাসরিন৷‌ নিউ ইয়র্কের ‘সেন্টার ফর ইনকুয়ারি’ নামে একটি অলাভজনক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্হা আমেরিকায় তসলিমার নতুন আশ্রয়ের ব্যবস্হা করেছে৷‌ নারীর অধিকারের পক্ষে এবং ধর্মীয় অনাচারের বিরুদ্ধে লেখা এবং বলার জন্য অনেক বছর ধরেই তসলিমা মৌলবাদীদের চক্ষুশূল৷‌ কিন্তু ইদানীং সরাসরি শাসানো হচ্ছিল তাঁকে৷‌ বাংলাদেশে একের পর এক মুক্তচিন্তার ব্লগার খুনের ঘটনার পর টুইটার বা ফেসবুকে একরকম খোলাখুলি খুনের হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছিল৷‌ উদ্বিগ্ন লেখিকা যার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করেন৷‌ সম্ভবত একই সঙ্গে তিনি অন্যত্রও সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন৷‌ যদিও সি এফ আই সংস্হাটি জানিয়েছে, আমেরিকায় তসলিমার থাকাটা নেহাতই সাময়িক, যেহেতু বৈধ ভিসা ছাড়া তিনি বেশিদিন ওদেশে থাকতে পারবেন না৷‌ তাঁর প্রাণসংশয় হতে পারে, শুধুমাত্র এই কারণেই সি এফ আই নিজেদের আপৎকালীন তহবিল থেকে তসলিমার ওদেশে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্হা করেছে৷‌ তবে খরচ চালানোর জন্য আরও অর্থ প্রয়োজন হবে, সেক্ষেত্রে সংস্হাটি তাদের সদস্যদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাবে৷‌ সংস্হার অধিকর্তা রোনাল্ড এ লিন্ডসে জানিয়েছেন, তসলিমা সব দিক দিয়েই একজন আন্তর্জাতিক রোল মডেল৷‌ তাঁর সাহস, তাঁর মুক্তচিন্তা অন্য মানুষদের উদ্বুদ্ধ করে প্রচলিত সংস্কার আর গোঁড়ামিকে প্রশ্ন করতে৷‌ তাই তাঁর বিপদের সময় সি এফ আই দূরে সরে থাকতে, মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেনি৷‌ তা ছাড়া সংস্হার ওই আপৎকালীন তহবিল তৈরিই করা হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতে যিনি বা যাঁরা মৌলবাদের মুখে বিপন্ন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য৷‌


মুক্তচিন্তা পাশ করে যাও, 
মতপ্রকাশ স্লোগান দাও। 
ওদিকে আবার কান মলে, 
ধর্ম নিয়ে বলছে বলে, 
করছো তাকে ঘর-বন্দি,
আঁটছো এক নয়া ফন্দি।
মাথায় শুধু ভোটে জেতা,
তোমরা যে সব বড় নেতা,
করছো তাকে রাজ্যছাড়া,
স্বজনহারা সর্বহারা!
তার বেলা? 

আমাকে খুব ভালোবাসতেন অন্নদাশংকর রায়। আমি যখন বাংলাদেশে আক্রমণের শিকার হচ্ছি, তখন থেকেই তিনি আমাকে নিয়ে অনেক বলেছেন, অনেক লিখেছেন। একবার তো ঘোষণা করলেন, আমি যেন সঙ্গে পিস্তল রাখি নিজের নিরাপত্তার জন্য। ইউরোপের নির্বাসন জীবন থেকে যখনই কলকাতায় যেতাম, চাইতেন সবার আগে তাঁর বাড়িতে যাই। দুপুরের খাবার নিয়ে বসে থাকতেন, একসঙ্গে খাবেন। কত কথা যে বলতেন, কত কথা যে শুনতে চাইতেন। শুনতে চাইতেন বেশি। একবার তিনি আমার সাক্ষাৎকার নিলেন। সেই সাক্ষাৎকারটা পুরো রেকর্ড করে নিয়ে এক ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছাপিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারটা নিয়ে ভীষণ উত্তেজিত ছিলেন। তাঁর ছিল অসুস্থ শরীর। চলতে ফিরতে পারতেন না। অথচ আশ্চর্য, ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে ‘আমার মেয়েবেলা’র প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করতে দিব্যি চলে এলেন। ওই শরীর নিয়ে তিনি তখন বাড়ির বাইরে কোথাও যান না। তাঁকে কোলে করে এনে চেয়ারে বসাতে হয়, কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিতে হয়। আমাকে ভালোবাসেন বলেই তিনি অনুষ্ঠানে আসতে রাজি হয়েছিলেন। অডিটোরিয়াম উপচে পড়ছে দর্শকে।বাইরে শত শত মানুষ, মনিটর লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন ভেতরে কী হচ্ছে দেখতে পায়। ওখানেই তিনি তাঁর সেই বিখ্যাত ভাষণটি দিয়েছিলেন, ‘বাংলাদেশ তসলিমার মা, পশ্চিমবঙ্গ তসলিমার মাসি। মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি হয়না, কিন্তু তসলিমার বেলায় মনে হচ্ছে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি..’। আমি কি তাঁর এই স্নেহ ভালোবাসার মর্যাদা ঠিক ঠিক দিতে পেরেছিলাম? আমার মনে হয় না। বিদেশ থেকে কলকা্তার কত কারও জন্য কত উপহার নিয়ে আসতাম। প্রতিবার ভুলে যেতাম অন্নদাশংকর রায়ের কথা। আমি কলকাতায় এসেছি শুনেই তিনি খবর পাঠাতেন, একবার যেন দেখা করতে আসি। অপেক্ষা করতেন আমার জন্য। আমি ব্যস্ত হয়ে পড়তাম তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায়। একবার খুব অল্প সময়ের জন্য তাঁর বাড়ি গেলাম, কথা দিয়ে এলাম দু'দিন পর যাবো। দু'দিন পর এলো। যথারীতি ভুলে গেলাম যেতে। তার পরদিন গিয়ে দেখি তিনি অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছেন বিছানায়। আমি যে এসেছি দেখতে পেলেন না। নার্স বললেন আমি আসবো বলে আগের দিন সারাদিন ভালো কাপড় চোপড় পরে ড্রইং রুমের চেয়ারে বসে ছিলেন। নার্স অনেকবার বিছানায় নিয়ে আসতে চেয়েছেন, রাজি হননি। বলেছেন, আজ তসলিমা আসবে। নার্স বলেছিলেন, রাত হয়ে গেছে, আর হয়তো আসবে না। তারপরও তিনি নড়েননি চেয়ার থেকে। বলেছেন, না, না, ও আসবেই। কথা যখন দিয়েছে আসবেই।
পরদিনের ওই অচেতন অবস্থা থেকে আর ফেরেননি অন্নদাশংকর রায়। খবর পাই, মারা গিয়েছেন। নিজেকে সেই থেকে আর ক্ষমা করতে পারিনি।

No comments:

Post a Comment