হারবার্ট
PDF Electronic Book Harbart Popular Formats Nabarun ...
১৩ জানুয়ারী, ২০১২ - Book Info: Paperback, 147 pages, Book Format: DJVU, ePub, FB2, RTF, TXT, PDF, iBook, DOC, MOBI. Harbart . Category: Uncategorised, Author/Writer: Nabarun Bhattacharya, Arunava Sinha. Related Tags: Stars: 4.21 of 5 stars. User's Rating: 75 ratings, Original EBook Title: হারবার্ট ...
He is most known for his anarchic novel, Herbert (1993), which was awarded the Sahitya Akademi Award, and adapted into a film by the same name in 2005.
Nabarun is renowned as a fiction writer, and justifiably so. But he writes poems as well and Ei Mrityu Upotyoka Aaamaar Desh Na (This Valley of Death Is Not My Country) is arguably his most acclaimed collection of poems.
Nabarun over the years consistently contributed to various little magazines, which together constitute a promising alternative mode of literary culture in Bengal that challenges the influence of big capital. It is equally noteworthy that his writing style deconstructs the gentle middle class ethos of the Bengali society. Most of his characters belong to the lower strata of existence. His fictions reinvigorate the received Bengali language with forceful idioms and expressions from the margins, which might often bombard the chaste taste of a Tagorean upper and middle class, still very much under the spell of a 19th century Victorian sensibility.
রিভিউঃ হার্বার্ট (২০০৬)
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ ইহা একটি বালপোস্ট। চরম ভাবে মুখ খারাপ করা হইছে। সুশীল সমাজ দূরে থাকেন। অশ্লীল সমাজ চেয়ার ঘুরিয়ে চেয়ারের হাতল বুকে চেপে হালকা উবু হয়ে বসেন। রিভিউ এর মুল উদ্দেশ্য আপনাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া কেনো হরিয়াল নামক গ্রুপের সিনেমা বা নাটক বালের সাথে তুলনা করা হয়।
আইচ্ছা শুরু করি।
সিনেমার নামঃ হারবার্ট (২০০৬)
নবারুন ভট্ট্যাচার্যের জনপ্রিয় উপন্যাস হারবার্ট অবলম্বনে স্ক্রিপ্ট লিখেছেন পরিচালক সুমন মুখোপধ্যায় । নবারুন হচ্ছেন শক্তিশালী লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর ছেলে।
প্রধান চরিত্রঃ সুভাশীষ মুখোপধ্যায়
কাহিনী সংক্ষেপঃ মৃতব্যক্তিদের সাথে প্ল্যানচেটের মাধ্যমে যোগযোগ করতে সক্ষম বলে দাবী করা হারবার্ট বা হারু ছবির শুরুতেই আত্মহত্যা করে। এরপর 'সিটিজেন কেইন ' স্টাইলে হারুর গল্প ফিরে যায় হারুর শৈশবে। সেখান থেকে গল্প প্যারালালি এগুতে থাকে হারুর শৈশব, কৈশোর এবং যুবা বয়সের সাথে বর্তমান সময়ের হারুর আত্মহত্যার কেইস নিয়ে পুলিশের টানাপোরেন। একদিকে পুলিশ সন্দেহ করতে থাকে হারু কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত কারন হারুর ভাতিজা নকশাল আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পুলিশের গুলিতে মারা যায়। অন্যদিকে আমরা হারুকে দেখতে পাই একটি আলভোলা ছেলে হিসেবে যার কোন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কথা না।
হারুর কৈশোর আর যুবা বয়সে আমরা হারুকে দেখতে পাই একমাত্র ব্যার্থ প্রেম, কাছের বন্ধুর আত্মহত্যা এবং আদরের ভাতিজার পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর সাথে মোলাকাত করতে। কৈশোর থেকে ভুত নিয়ে ব্যাপক পড়াশুনা করলেও মৃত ব্যাক্তিদের আত্মা নামানো বা তাদের সাথে যোগাযোগ করার কাজটা হারু শুরু করে তার ভাতিজার মৃত্যুর পর।
হারবার্ট সিনেমাতে কলকাতার কয়েক দশকের সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যাপার খুব সুক্ষ্মভাবে উঠে এসেছে। পরিচালক তার প্রথম পরিচালিত এই সিনেমাটিতে ক্লাসিক হলিউডের সাথে ইন্ডিয়ান স্টাইল এর কম্বিনেশন করেছেন; আর একি সাথে যুক্ত করেছেন ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ (French New Wave ) আন্দোলনের শক্তি। ফ্রেঞ্চ নিউ ওয়েভ নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার।
ফ্যাঁৎ ফ্যাঁৎ সাঁই সাঁই করে উড়ছে হারবার্ট / ফায়হাম ইবনে শরীফ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আদিখ্যেতা নেই আমার। কলকাতা নামক শহরটা নিয়ে এখন আর বালখিল্যতা অবশিষ্ট না রইলেও, একসময় যে ছিলো না, সেটি বললে তা হবে প্রেমের অবমাননার শামিল। স্কুলে পড়বার সময় অবশ্য নকশালবাড়ি, ডুয়ার্সের চা-বাগান, প্রেম, প্রাপ্তি, হতাশা, পুরুষের একরোখামি আর বহুগামিতার উপাখ্যান পড়ে পশ্চিমবঙ্গ নয় বরং ভুলভাল জানা কলকাতা নিয়ে একরকম হৃদয় জুড়ানো ভালোবাসা ছিলো। কে যেন বলেছিলো- কলকাতার বাতাসে নাকি প্রেম উড়ে বেড়ায়। ওখানকার খেটে-খাওয়া রিক্সাওয়ালাটাও নাকি উঁচু দালানের ঝিয়ের সাথে প্রেম করে, সংসার জীবন ফেঁদে বসবে বলে স্বপ্ন দেখে। সে যাই হোক, বর্ণনার না বলা অংশগুলো বুঝতে সময় লেগেছে, আবেগের বাঁধ ভেঙেছে গঙ্গাজলে, ভাসিয়ে নিয়ে গেছে পদ্মার পাড়ে, যেখানে দুই বাংলার মাঝে সীমান্ত হয়ে রয়েছে ফেলানি।
নবারুণ ভট্টাচার্যের জন্য অনলাইন এপিটাফ লিখতে বসেছি। কিন্তু কি-বোর্ড চাপতেই লেখায় উঠে এলো এইসব আবোল-তাবোল কথা। কারণ, নবারুণের সাথে আমার পরিচয় আবোল-তাবোল কথামালায়।
ক্যাট-ব্যাট-ওয়াটার-ডগ-ফিস। সিনেমার পোষ্টারে কত কিছুই তো থাকে, কিন্তু তারপরও এই আবোল-তাবোল কথামালাই কিছু বন্ধু সমেত আমায় টেনে নিয়ে গিয়েছিলো সিনেমা হলে। এরপরেরটা ইতিহাস।
সিনেমার নাম হারবার্ট। তখনো নাকি ভারতে মুক্তির অপেক্ষায় সেটি। কিন্তু ঢাকার শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরে মিলনায়তনে, হারবার্ট মুক্তি দিলো আমাদের কয়জনার পরাধীন মনকে। ছেঁড়া পকেট আর শেখানো বুলির কারণেই হয়তোবা মিলনায়তনের বাইরে এসে মুক্তিপ্রাপ্তদের একজন বলে বসলেন- এক বোতল বিদেশি মদের সমান নেশা হয়েছে। তখনো বুঝিনি নেশাটা ধরালো কে?
এরপর অজস্র নিঃসঙ্গ রাত্তিরে, হাসি ঠাট্টায়, একমদ সভায়, নিউরোন সেলের অভব্য আচরণে কিংবা মাঠে-ময়দানে আমায় তাড়িয়ে বেড়িয়েছে বানচোত ছেলে হারবার্ট। একসময় রেড ইন্ডিয়ান সীউরা যেভাবে রকি মাউন্টেনের উপত্যকায় তাড়িয়ে বেড়িয়েছে অ্যান্টিলোপ কিংবা মোষের পালকে, ঠিক তেমনি আমাকেও এই মৃত্যু উপত্যকায় তাড়াতে লাগলো হারবার্ট। দৌড়াতে-দৌড়াতে হাঁপিয়ে উঠার মূহুর্তে আমি হাজির হলাম নবারুণের দ্বারে। প্যাঁচপ্যাঁচানি মধ্যবিত্তীয় প্রেম, হারায়ে খোঁজা সাম্যের গান কিংবা শিল্পীয় পরকীয়া থেকে মুক্তি দেয়া এই অভদ্দরনোকের নাম তবে নবারুণ ভট্টাচার্য! যার লেখায় চুর হয়ে হারবার্টের জন্ম দেন সিনেমা পরিচালক।
হৃদয়ের চোখ দিয়ে এতকাল নারীদেহ চেনাতে চেয়েছেন ঝাঁকভরার শিল্পী সমাজ। অন্তরের অন্তঃস্থলে ভালোবাসার নদীতে বয়ে যাওয়া অ্যাড্রানালিন গ্রন্থির জন্য ড্রেজিং করেছেন তারা। শিখিয়েছেন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে আরো শক্ত-সামর্থ পুরুষ হয়ে উঠার গল্প। কিন্তু আমার রক্ত বিদ্রোহ করেছে। তাই নবারুণের ছোঁয়ায় ফিনকি দিয়ে ছুটে বেরিয়েছে কাম। দেহ থেকে মুক্তি মিলেছে পুরুষত্বের জ্বালার। শরীরের মাঝে অর্থ-বিত্ত-কাম খুঁজবার বদলে মানুষ চিনতে শিখেছি। আর ফ্যাঁৎ ফ্যাঁৎ সাঁই সাঁই করে হারিয়ে গিয়েছি পাহাড়ের খাঁজে আদিবাসী পল্লীতে, যেখানে দেখা মিলেছে অসংখ্য ফ্যাতাড়ুর-হারবার্টের।
শ্বাশত সুন্দরের গল্প বলায় এক ধরনের অরুচি নবারুণের। আর তাই নবারুণের "প্রটাগোনিস্ট"রা সবসময়ই মধ্যবিত্তের কাছে ম্লেচ্ছ সব মানুষেরা। ঠিক যতটা আক্রোশ ভরে আদিবাসী কিংবা হরিজনদের দূর্গম পথে ঠেকে দেয় আমাদের আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, ঠিক ততটাই মমতা ভরে তাদের কাছে টেনে নিয়েছিলেন নবারুণ। দিকে দিকে যখন রাষ্ট্র ব্যবস্থার নামে মারণাস্ত্রের "ডিজে" চলছে, তখন নবারুণ বুক ফুলিয়ে ক্ষেদোক্তি করছেন– এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না। যেখানে ডাল-ভাতের জন্য শিল্পের সমঝদার না হয়ে, শ্রমের কাঙাল হতে হয় শ্রমিকের; সেখানেই কিনা অধিকার আদায়ে না খেয়ে থাকতে হয় তাদের। তবে নবারুণ কখনোই মেনে নেননি এই অসাম্যের অদ্ভুত প্রলোভন। তাই হাজারো শ্রমিক যখন ন্যায্য পাওনা আদায়ে আমরণ না খেয়ে থাকবার প্রতিজ্ঞা করে, ঠিক তখনই অনিয়ম আর অন্যায্যের এই বাগানকে বিদায় জানান নবারুণ। এ এক অদ্ভুত "আয়রনি"ই বটে।
আঁধারের প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ যেন আমত্যু তাড়া করেছিলো তাকে, যা কাঁধে তুলে নিয়েছি আমাদের অনেকেই। সকলের অপছন্দের এই অন্ধকারে বাতি জ্বালাতে নয়, বরং এর সৌন্দর্যকেই আমার চোখে যেন আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিলেন তিনি। সমাজের চোখে যারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অস্বাভাবিক তারাই যেন মদের গেলাস হাতে নবারুণের সাথে নিত্য করেছে উল্লাস। শেষ পর্যন্ত তাদের নিয়েই হয়তো শ্মশানে শেষ সময়টা কাটিয়ে দিয়েছেন নবারুণ।
মারাত্মক রাজনৈতিক অন্তর্ঘাত নিয়ে নবারুণ কখনো সাম্যের গান গাওয়া মানুষকে বলেছেন অ্যামিবা। তাই বলে ধনতান্ত্রিক অসাম্যের কাছের মানুষ ছিলেন তা কিন্তু নয়। আমাদের সমাজে এরকম অজস্র শহুরে ভবঘুরেকে তাই বিপ্লবের স্বপ্ন দেখাতে পেরেছে ফ্যাতারু। শুধুই প্রমিত-প্রথাগত সৌন্দর্যের গুণগ্রাহী রস আস্বাদন না করায়, তার কথায় ঠিকরে বেরিয়েছে খিস্তি-খেউর। অনেকের ভাষায়, শুনলেই গা গুলিয়ে উঠে এমনতর ভাষা তার। আর এক মুঠো অপাংক্তেয়'র ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে নবারুণ পথ দেখিয়েছেন হতাশ মানুষদের। অন্ধকার গলি-ঘুপচি আর সমাজের চোখে নিষিদ্ধ পল্লিতে ঘুরে-বেড়ানো অচ্ছুৎ'র "ট্র্যাভেলগ"কে এভাবেই তুলে এনেছেন সভ্য মানুষের দৃষ্টিসীমানায়। বেনিয়াদের লেখা ইতিহাসের সাথে একইভাবে উঁচুদরের সাদা কাগজে ছাপা হয়েছে নবারুণ-গাঁথা।
তবে এসবের আর বালাই থাকছে না। কারণ, নবারুণ পাখা মেলেছেন। যে পাখার স্বপ্ন দেখায় ফ্যাতাড়ু, যেভাবে কম কথায় বিস্ফোরণের মতই বিদায় নেয় হারবার্ট। ঠিক সেভাবেই ইতিহাসের পাতায় পাদটীকার সমান জায়গা দখল করে নিজেকে আড়াল করলেন নবারুণ ভট্টাচার্য।
…………………………………………………………………………………………
No comments:
Post a Comment