Sustain Humanity


Friday, March 4, 2016

রাত দুপুরে আজাদি,ধন্যবাদ জেএনউ! বাবাসাহেবের মিশন সমাজ বিপ্লব এবং ভারতীয় সাম্যবাদী আন্দোলনের নবজন্ম,ধন্যবাদ! পলাশ বিশ্বাস

রাত দুপুরে আজাদি,ধন্যবাদ জেএনউ!

বাবাসাহেবের মিশন সমাজ বিপ্লব এবং ভারতীয় সাম্যবাদী আন্দোলনের নবজন্ম,ধন্যবাদ!

পলাশ বিশ্বাস

ঋত্বিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারার সেই বিখ্যাত শেষ দৃশ্য ঠিক তখনই মনে পড়ে গেল ,যখন জেল ফেরত জেএনউ ছাত্র সংঘের প্রেসিডেন্ট কানহাইয়া আকাশ বাতাশ কাঁপিয়ে সারেগামার বিলম্বিত লয়ে শ্লোগান তুললেন- লড়েঙ্গে! জিতেঙ্গে!সত্তরের দশকে আমরা যারা ছাত্র আন্দোলন করেছি,তাদের সুরে ছিল গণসঙ্গীত,লোক সংস্কৃতি ও গণনাট্য,পথ নাটিকা!


কিন্ত প্রথমবার শোনা গেল জয় ভীম কমরেড!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ মনুস্মৃতি রাজ!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ ব্রাহ্মণ্যবাদ!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ মনুবাদ!


সত্তরের দশকে আমরা যারা ছাত্র আন্দোলন করেছি,তাদের কন্ঠে ছিল না রোহিত ভেমুলা!


সত্তরের দশকে আমরা যারা ছাত্র আন্দোলন করেছি,তাদের

কথায বক্তৃতায় ছিল না দলিত পিছড়ে আদিবাসী বহুজন দরিদ্র মূক বারতবাসীর জীবন জীবিকার সমাজ বাস্তব!


সত্তরের দশকে আমরা যারা ছাত্র আন্দোলন করেছি,তাদের মিছিলের পুরোভাগে ছিল না কোনো বাবাসাহেব!


তাই ত মনুস্মৃতি দাবি করেছিলেন রোহিত বামুলা ওবিসি!

আজ দলিত ওবিসি,পিছড়ে,আদিবাসী,বর্ণহিন্দু,সংক্যালঘু ছাত্র যুব সমাজের কোনো পরিচয় নেই!জাতি নেই!ধর্ম নেই!


সব পরিচয় ছাপিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব,ভারতের গণতন্ত্র ও ভারতের সংবিধানকে বাঁচানোর লড়াইয়ে তারা সবাই মাস্টারদা!


সব পরিচয় ছাপিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব,ভারতের গণতন্ত্র ও ভারতের সংবিধানকে বাঁচানোর লড়াইয়ে তারা সবাই সাঁওতাল বিদ্রোহে মুন্ডা বিদ্রোহে সন্যাসী বিদ্রোহে নীল বিদ্রোহে,চুয়াড় বিদ্রোহে,তেভাগায়,তেলেঙ্গানায় একাকার এবং তাঁদের দাবি সব মানুষের স্বাধীনতা,সব মানুষের হক হকুক,সব মানুষের জীবন জীবিকা,জল জঙ্গল জমীন!


সব পরিচয় ছাপিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব,ভারতের গণতন্ত্র ও ভারতের সংবিধানকে বাঁচানোর লড়াইয়ে তারা সবাই শহীদে আজম ভগতসিংহ,চন্দ্রশেখর আজাদ,প্রফুল্ল চাকী,ক্ষুদিরাম বসু,যতীন দাস মাতঙ্গিনী হাজরা বিরসা মুন্ডা সিধো কান্হো!


মেঘে ঢাকার সেই শেষ দৃশ্যে নীতার সেই হিমাদ্রিশিখর কাঁপানো সারেগামা চিত্কার -দাদা,আমি বাঁচতে চাই!


জেএনউ থেকে সারা বিশ্ব ছাপিয়ে একই সঙ্গীত মুর্ছনায় বসন্তের আলোড়নে রবীন্দ্রনাথের ভারততীর্থ !


সঙ্গীতবদ্ধ ছাত্র যুব সমাজের সমাজ বিপ্লবের এই শপথ রাত দুপুরে আজাদি!


ধন্যবাদ জেএনউ!

বাবাসাহেবের মিশন সমাজ বিপ্লব এবং ভারতীয় সাম্যবাদী আন্দোলনেন নবজন্ম,ধন্যবাদ!


নাথুরাম গোডসেকে ঈশ্বরের আসনে বসিয়ে রাষ্ট্রনেতা গান্ধীকে বারম্বার হত্যা করার আয়োজনে গান্ধী ফিরে এসেছেন বার বার!


এই প্রথম বাবাসাহেব ফিরে এলেন!


নীল সাড়ি পরিহিতা মনুস্মৃতি মা যে সন্তানকে বধ করেছেন,সেই রোহিত ভেমুলার ছবি প্রতিচ্ছবি থেকে ইতিহাস ফিরে এল!এই প্রথম বাবাসাহেব ফিরে এলেন!


ইতিহাসের বর্তমান অধ্যায়ে প্রবল ভাবে  ফিরে এলেন সেই বাবা সাহেব ডঃ আম্বেডকর  যিনি রাজনীতি শুরু করেছিলেন প্রবলেম অফ রুপি লিখে!


ফিরে এলেন সেই বাবা সাহেব ডঃ আম্বেডকর  যিনি ওয়ার্কর্স পার্টি গঠন করেছিলেন মেহনতী মানুষের হক হকুক কে লিয়ে!


সেই বাবা সাহেব ডঃ আম্বেডকর ফিরে এলেন  যিনি শমিক শ্রেণীর অধিকার সুনিশ্চিত করে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করার অধিকার,মাতৃত্ব অবকাশের অধিকার ব্রিটিশ সরকারে লেবার মিনিস্টারের ভূমিকায় সুনিশ্চিত করেও ভারতীয় কম্যুনিস্ট আন্দোলনে চিরকালই অছুত থেকে গেলেন এবং সর্বহারা মেহনতী মানুষ,ঔ লাল নীল জনতা ভারত ভাগের আগেই ভাগ হয়ে গেল!


সমাজ বিপ্লব ও বিপ্লবের মেরুকরণ হল!


ধন্যবাদ জেএনউ!

ধন্যবাদ রাত দুপুরে আজাদি!


ধন্যবাদ সমাজ বিপ্লবের সারেগামা এবং বিপ্লব ও সমাজ বিপ্লব,লাল নীল একাকার হওয়ার বসন্ত!


নন্দিনী আর একা নয়!

সুড়ুঙ্গের মুখে নয়,মিছিলের মুখ হয়ে লাখো লাখ নন্দিনীরা জেএনউর ছাত্রীদের মত মশাল হাতে বেরিয়ে পড়েছে অন্ধকারের সাম্রাজ্য ধ্বংস করতে!


জয় ভীম কমরেড!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ মনুস্মৃতি রাজ!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ ব্রাহ্মণ্যবাদ!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ মনুবাদ!


সত্তরের দশকেও লাল ঝান্ডা ছিল,কিন্তু নীল সমুদ্রের দেখা মেলেনি!মনুস্মৃতি রাজের পাযদল বাহিনী হয়ে  ব্রাহ্মণ্যবাদের জাদু মহলে বন্দী চিলেন বাবাসাহেব!


সত্তরের দশকে আমরা রোহিত ভেমুলার মুখ চিনতাম না! সত্তরের দশকে আমরা বাবাসাহেবের মুখ চিনতাম না!


সত্তরের দশকে নন্দিনী সুড়ুঙ্গের মুখেই থমকে থেকে নীরা হয়ে গিয়েচিল,এবং আমরা তার হাত ধরে থেকেছি,তার ভালোবাসার আলোকে হাতিয়ার করে অন্ধকারের সাম্রাজ্যকে আমরা আক্রমণ করতে পারিনি!


রাত দুপুরে আমরা সরাসরি সেই বহুপ্রতীক্ষিত শ্লোগান শুনেছি বলে আমার মনে নেই- পুরুষতন্ত্র নিপাত যাক্!


মনুস্মৃতি শাসনে শুদ্র দেবদাসী সেক্সস্লেভ হয়ে যাওয়া কন্ডোম গণনা অভিযানের শিকার স্রীর জন্যআজাদির শ্লোগান কিন্তি সোচ্চার কন্ঠে খোলা তরওয়ারির মত রাতের অন্ধকার চিরে আলোর ফোয়ারা হয়ে ঝলছে উঠে চিত্কার করেছে বাববার স্ত্রী স্বাধীনতাও চাই!


সমাজ বিপ্লবের,বিপ্লেবের সিংহ গর্জনে মেকি সিংহদের হারিয়ে যাওযার সময়ের মুখোমুখি আমরা!


হাজারো বছরের আমদের প্রজন্মের পর প্রজন্মের রক্তধারার মিলনে যে মহামানবের সাগর হয়ে গেছে বারতবর্ষ,তার সিংহ গর্জনে কেঁপে উঠেছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারি!


ভারত সে নেহি,ভারত মে আজাদি চাহিয়ে!

সেই আজাদিতে জাতি ধর্ম ভাষা লিঙ্গ নিরপেক্ষ সমস্তভারতবাসীর আজাদির আকাঙ্খার প্রতিধ্বনি!


সেই আজাদির শ্লোগানে মুকম্মল ভারতবর্ষ.যার নীল লাল নক্শায়,মানববন্ধনে ভারতবর্ষের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য!


জয় ভীম কমরেড!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ মনুস্মৃতি রাজ!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ ব্রাহ্মণ্যবাদ!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ মনুবাদ!


দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ সভাপতি কানহাইয়া কুমারকে।


বৃহস্পতিবার শর্তসাপেক্ষে আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েই ফের জেএনইউয়ের ফিরে গেলেন তিনি। আর একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে ফিরেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় ক্ষোভ উগরে দিলেন কানহাইয়া কুমার। জানালেন, ভারত থেকে নয়, ভারতের মধ্যে থেকেই আজাদি চান তারা। আর আগামী দিনেও আজাদির জন্যই লড়ে যাবেন।


সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা, জাতপাতের বিভেদ থেকে তারা আজাদি চাইছেন। একইসঙ্গে মোদী সরকারকেও তীব্র কটাক্ষে ভরিয়ে দিয়েছেন কানহাইয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তাঁর উক্তি, বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করে দেশের নাগরিকদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার যে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি মোদীজি দিয়েছিলেন তা এখনও কানে বাজছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যদিকে নজর ঘোরাতেই নানাকিছু করতে চাইছে মোদী সরকার।


প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারির পরে গত বুধবার কানহাইয়াকে ছয় মাসের জামিন দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। বিচারপতি প্রতিভা রানির নেতৃত্বে এই রায় দেওয়া দেয়। এরপরে বৃহস্পতিবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সোজা জেএনইউয়ে ফিরে যান কানহাইয়া কুমার।


অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (জেএনইউ) ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার। দিল্লির তিহার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা ২০ মিনিটে জেএনইউ ক্যম্পাসে বক্তব্য রাখেন কানহাইয়া কুমার। ছাত্র-ছাত্রীদের বিপুল উল্লাসের মধ্যে ৪০ মিনিট ধরে বক্তব্য রাখার সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ করে কানহাইয়া বলেন, 'দেশে যা হচ্ছে তা বিপজ্জনক প্রবণতা। আপনি মিথ্যাকে মিথ্যা করতে পারেন কিন্তু সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করতে পারবেন না।'

তিনি বিজেপি এবং আরএসএস-এর উদ্দেশ্যে বলেন, 'আমাদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত। এই আন্দোলনকে তোমরা দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তোমরা যতই আমাদের চাপা দেয়ার চেষ্টা করবে, আমরা ততই শক্তিশালী হয়ে দাঁড়াব।'

তিনি বলেন, 'অত্যাচারের বিরুদ্ধে জেএনইউ সবসময় তার আওয়াজ তুলেছে। ভবিষ্যতেও তা করতে থাকবে। জেএনইউয়ের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। আমরা ভারত থেকে আজাদি নয়, ভারতে আজাদি দাবি করেছি।' তিনি তিহার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে আরএসএস থেকে আজাদি, ক্ষুধা থেকে আজাদি, জাতিবাদ, মনুবাদ থেকে আজাদি প্রসঙ্গে স্লোগান তোলেন।

বিজেপি'র ছাত্র শাখা এবিভিপি প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা এবিভিপিকে বিরোধী দল হিসেবে মনে করে থাকি, শত্রু হিসেবে নয়।'

প্রধানমন্ত্রীর কালো টাকা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে কানহাইয়া বলেন, আজ পর্যন্ত কালো টাকা ফিরে আসেনি। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন কানহাইয়া।

কানহাইয়া বলেন, জেএনইউ সম্পর্কে পুরো পরিকল্পনা নাগপুর (আরএসএসের সদর দফতর) থেকে করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদিজি 'মন কি বাত' মনের কথা বলে থাকেন কিন্তু শোনেন না কিছু।

তিনি বলেন, 'দেশে জনবিরোধী সরকার রয়েছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে সাইবার সেলের পক্ষ থেকে বিকৃত ভিডিও দেখানো হবে। এটা মনে রাখতে হবে তাদের মতাদর্শ দেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা কেবল ৩১ শতাংশ লোক।

জেএনইউ ছাত্র সংঘের প্রেসিডেন্ট কানহাইয়া কুমারকে দেশদ্রোহের অভিযোগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পরে বুধবার তিনি দিল্লি হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের জন্য শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট থেকে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে দিল্লির তিহার জেল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুক্তি পান কানহাইয়া কুমার। তাকে নিয়ে কার্যত গভীর রাত পর্যন্ত উৎসব চলে জেএনইউ ক্যাম্পাসে। তার গ্রামের বাড়িতেও শুরু হয় আনন্দ উল্লাস।#


রাত দুপুরে আজাদি,ধন্যবাদ জেএনউ!

বাবাসাহেবের মিশন সমাজ বিপ্লব এবং ভারতীয় সাম্যবাদী আন্দোলনের নবজন্ম,ধন্যবাদ!


জয় ভীম কমরেড!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ মনুস্মৃতি রাজ!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ ব্রাহ্মণ্যবাদ!

ফিরে এল বাবাসাহেবের মিশন,নিপাত যাক্ মনুবাদ!





--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Post a Comment